হতাশা গ্রস্ত মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা তুলে ধরা হল এই ভিডিও তে।

আমরা যখন হতাশা গ্রস্ত হই তখন আমাদের পাশের সবকিছুই কেমন যে পর মনে হয়। আমরা ভালো কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না। হতাশা আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করে থাকে।

কেমন আছে? /সালমান হোসেন রাসেল

কেমন আছে দেশ টা আমার, বড় এই দূর্দিনে, কত ই না কষ্টে আছে, জীবন যুদ্ধের ঋণে।। ক্ষুধার্ত আছে আমার দেশটা, অনাহারে আমার মা, কোথায় যেন হারিয়ে গেছে,আমার মানবতা।

আমি থাকি প্রবাসে, খুজতে আছি সুযোগ, আমার আছে অনেক কিছু, তবু করবো ভোগ। হোক না তাহা অসহায়ের, আমার কিবা আসে, মরলে মরুক ভিক্ষুক ওরা, থাকবো নাকো পাশে। ওদের দিয়ে কিবা হবে, আমার অনেক চাই, নীতি কথা বাদ দাও ভাই, ছোটলোকের বাজেট নাই।।

এই অসহায় শিশু ক্ষুধার্ত মানেই, আমার দেশ ক্ষুধার্ত।

সরকার দিচ্ছে ত্রান সামগ্রী,আমি নই তো বোকা, পকেট আমার গরম হয়েছে, দিয়ে একটু ধোকা।। ওরা কি আর করবে আমার, না খেয়ে ই মরুক, আমার সামনে মহা সুযোগ, ওদের উপর গজব পরুক।

আজ সমগ্র বাংলাদেশ ক্ষুধার্ত। হে মানব এদের সাহায্য কর। আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করবে।

হায়! পৃথিবী দেখছো কি চেয়ে, আমার মানবতা, আমার দেশটা বড় ই বিপদে,দেখবে কেতা, আমি কি তবে মানুষ হয়েছি? মানবতা হীন, কেমন করে পরিশোধ করবো, এই মহা ঋণ।।

কেমন আছে দেশ টা আমার, ক্ষুধার্ত পরিজন, এখন ও কি কাঁদে না পাপী, তোর অবুঝ মন।। কিবা করবি টাকা দিয়ে, কিবা যাবে তোর সাথে, একবার ও কি ভাবিস না তুই, নিরিবিলি রাতে??

ভাল নেই দেশ আমার, ভালো নেই আমার মন, প্রবাসে থেকে করি দোয়া, ভাল থেকো দেশের সকল পরিজন।।

হে নেতা তুমি অনেক আয় করতে পারবে। আজ এদের অধিকার আর্তসাথ করো না।

বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশ /সালমান হোসেন রাসেল

আমি বসন্তের পূবালী পবণ, চৈত্রের প্রচন্ড অগ্নি খরা। আমি বৈশাখের কাল বৈশাখী ঝড়, হেমন্তের পাকা ধানের গােলা ভরা।।

আমি কৃষকের কঠোর অগ্নিদহন, মালির ডালা ভরা ফুল। আমি নজরুল সংগীতের ছন্দ, বাংলার রুপসী বধুর কানের দুল।।

আমি শীতের শােভাময় শিশির বিন্দু, রোদ্রজল একটি সকাল। আমি কৃষকের হাতের লাঙল, জেলে ভাইয়ের হাতের জাল।।

আমি শহীদের স্মরণে দাড়িয়ে থাকা শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধের উচ্চ করা শির। আমি অদম্য অবিসংশয়, বাংলার অকুতােভয় বীর।।

আমি পল্লি মায়ের অবাধ বিচরণ, শিশুর কান্নার সুর। আমি কঠোর পরিশ্রমী মানুষের, বেদনা করি দুর।।

আমি বৈচিত্রময় সােনার বাংলাদেশ, গর্বিত আমার শির। আমি বিশ্ব মানচিত্রে গড়েছি নিজের স্থান, হয়েছি অকুতােভয় বীর।।

আমি প্রকৃতির আধার সৌন্দর্যের লিলাভূমি, আমি গড়েছি অজস্র সম্পদ আমার দেহ চুমি।।

বাংলার সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

আমি কোকিলের ডাকে বিমহিত করি, পল্লির মাঠ প্রান্তর। আমি পথ হারা পথিকের পথ, ভয়ার্ত রাতের ভোর।।

আমি সবুজ শ্যামল মাঠের সােনালী ধান, পাখিদের শ্রেষ্ট অন্ন। আমি বন্য প্রানীর নির্ভরযােগ্য আবাসস্থল, কাজ করি ডাল ভাতের জন্য।।

আমি স্বপ্ন হারা মায়ের চোখের জল, বেদনার্ত আর্তনাদ। আমি বিজয়ী বীরের রক্তধারা, সন্ধ্যার জ্যোস্নাত চাঁদ।।

আমি লাল গােলাপের কাটা যুক্ত ফুল, শত বছরের শ্রেষ্ট বীর। আমি বৈরাগী বাতাসের এলােমেলাে ঝড়, বিপদে থাকতে পারি স্থির।।

অত্যাচারের সীমা/ সালমান হোসেন রাসেল

অত্যাচারের সীমা লঙ্ঘন হীন,যাচ্ছে ওরা ছেড়ে, অসহায়ের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে,ধরছে ওরা তেড়ে । শত শত মানুষ আজ অনাহারে ভূমিহীন ওদের কারণে আজ বাঙালীর জীবনে বাজচ্ছে দুঃখের বীন।।

অত্যাচার করে ওরা দেখেনা গরিব দুঃখি, সবকিছু লুট করে হচ্ছে ওরা সুখি । সুখি হচ্ছে ওরা সব বাঙালীর বুকে দিয়ে লাথি আমি আজ প্রতিবাদ করছে আমি যে এই জাতি

আমি আজ অত্যাচারের করছি প্রতিবাদ, অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যেওনা, ভেঙ্গে দেব হাত। আর কতকাল তােমরা শােষন করবে এই বাংলায়, তােমাদের প্রতি কঠর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করছি তাই।।

আর পারবে না দিতে বাংলার মানুষের বুকে লাথি, অত্যাচারের প্রতিবাদ করা শিখেছে বাঙালী জাতি। তাদের শুধু একটি কথা সত্য পথে চলব আল্লাহ করে যা , আর তােমরা যেওনা ছাড়িয়ে অত্যাচারের সীমা।

English :

The limits of torture are not violated, they are leaving, they are taking helpless food, they are caught. Hundreds of people are starving in the life of Bengalis today because of their starvation.

They do not see the oppressed poor, they are robbing everything happy. Blessed they are kicking all the Bengalis I am protesting today that I am this nation

I am protesting today, I will break my hands without breaking the limits of oppression. And how long will they be in this bungalow, so I am taking strict intervention against them.

The Bengali nation has learned to resist the oppression of the people of Bengal, and can not give up. Only one of them will walk the truth in the way that Allah does, and the limits of oppression go beyond that.

পাখির ছানা/সালমান হোসেন রাসেল

ঐ দেখ ভাই পাখির ছানা , কেমন করে কাঁদে , লুকিয়ে আছে মা নাকি তার,দুর অজানা ঐ চাঁদে কিচির মিচির শব্দে শুধু , মুখরিত চারপাশ , জীব জানােয়ার করছে হানা,করছে ফোসফাস।।

একাকি সে সঙ্গি হারা, কাঁদে বসে পাখি , কয়েকদিন বয়স তাহার, কেমনে মা বলে ডাকি । ভাষা নাহি শিখিয়েছে মা , বাবা গেছে মরে , প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে , এখন আমার জ্বরে।।

পাড়া পরশি চিনিনা কাউকে,ফোটেনি এখনও চোখ ক্ষুদার জ্বালায় পেটটা জ্বলে,পাইনা কোন পােক। উপকারী নেইতাে কেহ , শুধুই শক্রর হানা , ক্ষুদার জ্বালায় মরছি আমি , পেটে নেই দানা।।

হায়!হায়!হায়!মাগাে তুমি কোথায় গেছ চলে , বাবা আমার মারা গেছে , তাও গেছ বলে। তােমরা দুইজন না থাকলে , কে হবে আর সাথি , ক্ষুদার জ্বালায় কাঁদি মাগাে এখন দিবা রাতি ।

ফিরে এসাে , ফিরে এসাে , ফিরে এসাে মা , অসহায় আমি মাগাে,তােমার ছােট পাখির ছানা।

ভোমরা পোকা/ সালমান হোসেন রাসেল

ভোমরা পােকা তােমার কাছে আমার আবেদন আকুল , কেমন করে নষ্ট কর তুমি গাছের ফুল । আরাে তুমি নষ্ট কর হাজার গাছের ফল , এত ক্ষতি কর তুমি মানুষের চোখে আনাে জল।।

তােমার কী ভাই একটু দয়া মায়া নাই , এই ফল আমরা প্রানীকুল ই তাে খায় । তােমার কাছে আমার আকুল আবেদন, তুমি আর কাদাইওনা এই মানুষের মন ।।

ভোমরা পােকা তােমার কেন এত বল বিষ , সুযােগ পেলে ইচ্ছা মত দুই একটা কামড় দিস।।জ্বালা জ্বতনে মরিরে ভাই , আমরা অসহায় । আর কামড় দিসনারে ভাই তাের লাগে দোহায় ।।

ছােট পােকা তুই ভাই , করি তােকে ভয়, একটা দুইটা কামড় দিয়ে মনে করিস জয়।। লােক সমাজে দুই একজন মানুষ আছে ভাই বােকা, তারা নিজেদের মনে করে ভােমরা পােকা।

আপনার সফলতার জন্য অহংকার থেকে দূরে থাকুন / সালমান হোসেন রাসেল

  • তুমি যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, হয়তো ভুলে যাবে এক সময়ের চলার সাথীকে। এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। হয়তো তখন তার সাথে কথা বলতে ও তোমার স্টাটাসে বাঁধবে। তবে তুমি কি কখন ও ভেবেছো? তোমার চলার সাথী তোমাকে অনুভব করে কি না???

বন্ধুত্ব সব সময় ই সমানে সমান হয়ে থাকে। তুমি যখন পজিশন তৈরীতে ব্যস্ত, তখন তোমার সহপাঠী অমনোযোগী হয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সময়। তাই তো সে আজ তুচ্ছ। এটাই তার প্রাপ্য ছিল।

মেধার তালিকায় নিন্ম পর্যায়ে থাকা জ্ঞান পাপি তৈরী করতে পারে নি তার ক্যারিয়ার। হয়তো অন্য কোনো সমস্যা থাকতে ও পারে। জীবনের বাস্তবতা যে বড় ই কঠিন। এই অবহেলিত বন্ধুদের বন্ধুর খাতা থেকে নাম কেটে দেওয়া ই শ্রেয়।

হে প্রতিষ্ঠিত মহাদয় ( বন্ধু নয় সহপাঠী ছিল কোন একদিন) আপনি সফল হয়েছেন এ জন্য আমরা গর্বিত। আমরা আপনার সাফল্য কামনা করি সর্বদা। যখন আপনি সফল হয়েছেন, তখন আপনার কিছুটা হলেও স্টাটাস থাকবে। ভাল থাকবেন আপনি।

তবে মনে রাখবেন, সফলতা অর্জনের চেষ্টা প্রতিটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজ আপনার তুচ্ছতাচ্ছিল্যের কারনে, তার সফলতা অর্জনের চেষ্টা অনেক গুন বেড়ে যেতে পারে। আর যখন মানুষ পরিশ্রমী হয়ে যায়, তখন সফলতা অর্জনেও প্রতিবন্ধকতা থাকে না। হয়তো সে দিন আপনি ই তাকে বন্ধু বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাবেন না!!!!!

মুসলিম গোয়েন্দা / সালমান হোসেন রাসেল

খন্ড -১

সামনে বিশাল বালুকাময় মরুভূমি। প্রচন্ড রৌদ্র। মাথা যেন টকবগ করছে।খাবার পানি শেষ হয়েছে ৩ দিন হল। সংগি সাথী হারিয়েছি মরু ঝড়ের কবলে পড়ে। জানি না ওরা সবাই কেমন আছে। বেঁচে আছে না মরে গেছে। আমার অবস্থা ও করুন। এভাবে চলতে থাকলে ২/৩ দিন হয়তো বেচে থাকতে পারি। খুব ক্লান্ত লাগছে। হাত পা আর চলতে চাই না।

কিন্তু আমার যে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে হবে। তা না হলে দেশের স্বাধীনতা বড় সমস্যার সম্মুখীন হবে। মুসলমানদের মূল শক্তি ভেঙে পড়বে। ওদের পরিকল্পনা নষ্ট করতে ই হবে।

হে আল্লাহ তুমি আমাকে শক্তি দাও। পথ দেখাও আমার প্রভু। মুসলমানদের রক্ষা কর আল্লাহ। আমি বড় গোনাহগার। আমাকে মুসলমান জাতির খেদমত করার তৌফিক দান কর আল্লাহ।

আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে একটু শক্তি অনুভব করলাম। উঠে দাড়িয়ে দেখতে লাগলাম বেলা কত হয়েছে। সূর্য ঢলে পড়েছে পশ্চিম দিগন্তে। আমি হাটতে লাগলাম। আজ একটা অজানা উৎসাহ কাজ করতে লাগলো আমার মধ্যে। খুব তাড়াতাড়ি হাটতে লাগলাম। কিছু দূর হাটার পর সন্ধ্যা নেমে এলো। রাতের অন্ধকারে নক্ষত্র দেখে হাটতে লাগলাম। এখন গরম নেই। হাল্কা হাল্কা শীত অনুভব করতে লাগলাম। হঠাৎ কিছু দূরে একটা আলোর দেখা পেলাম। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে তাড়াতাড়ি আলোর দিকে হাটতে লাগলাম। আলোর নিকট পৌঁছাতে ই পিছনের দিক থেকে মাথায় আঘাত পেলাম। আমি বেহুশ হয়ে গেলাম।

চলবে………………………

স্বাধীনতার ভুক্তভোগী /সালমান হোসেন রাসেল।

৪৮ বছর পরে,

আমি দেখিনি ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ, শুনেছি পাকিস্তানের একচেটিয়া শাসন,

আমি ২৫ শে মার্চের কালো রাত্রি দেখিনি, শুনেছি ৭ ই মার্চের ভাষণ।।

আমি ১৬ ই ডিসেম্বরের বিজয় অর্জন দেখিনি, দেখিছি স্বাধীন বাংলাদেশের ছবি,

তোমায় নিয়ে এখন কবিতা লিখতে ভয় পাই, স্বাধীন বাংলাদেশের সকল কবি।।

হে স্বাধীন বাংলাদেশ?????????????????

তুমি কি বলতে পারো? স্বাধীনতা তোমায় কতটা প্রশান্তির দিয়েছে রেশ ?

আজ ৪৮ বছর পরে হঠাৎ এই প্রশ্নের জবাব, দিতে পারবে কি তুমি প্রিয় বাংলাদেশ????

আজ আমি স্বাধীনতার ভুক্তভোগী!!!!!

আমি দেখেছি প্রতি ৫ বছর অন্তর, ইতিহাস হতে পরিবর্তন,

আরো দেখেছি ক্ষমতার পালা বদলে, একে অপরকে করতে কর্তন।।

রক্তারক্তি আহাজারিতে, সকালে পাখির ডাকে এখন আর ভাঙ্গে না ঘুম,

রাজনৈতিক প্রতি হিংসায় জর্জরিত স্বাধীনতা, বেড়েছে হত্যা ধর্ষন আর গুম।।

কখন হয়তো কেউ এসে বলে যাবে, হয়ে গেছো তুমি জঙ্গি,

এটা ই স্বাধীন বাংলাদেশের হয়েছে এখন ভঙ্গি!!!!!

হে আমার সোনার বাংলদেশ?????

তুমি কি তবে পরাধীন ই ছিলে বেশ?????????

আজ সত্য কথার হয় না মূল্যায়ন, মিথ্যা গেছে ভরে,

আমি হয়েছি স্বাধীনতার ভুক্তভোগী, দাম দিচ্ছে কত নিরীহ মানুষ মরে।।